যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর কারাবাস: আপিল বিভাগ
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের জেল। তবে কোনো আদালত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিলে আজীবন থাকতে হবে জেলে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) এ রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে বলে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কত, এ নিয়ে গেলো কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলে আসছিল। বিশেষ করে যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনো কোনো আসামিকে যাবজ্জীবন মানে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আদেশ দেন তখন এ বিতর্ক আরও জোরালো হয়।
মঙ্গলবার এ বিতর্কের অবসানের জন্য আরেকটি রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আদালত বলেন, কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে তাকে ৩০ বছর জেলে থাকতে হবে। তবে কোনো আদালত কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিলে তাকে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।
অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এ রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান হলো।
তিনি বলেন, আগের আদেশ ছিল আমৃত্যু। এখন আর আমৃত্যু নয়, এখন ৩০ বছরের জেল হবে। তবে যাদের আমৃত্যু বলা হবে তাদের আজীবন থাকতে হবে।
এ রায়ের সঙ্গে একমত আসামিপক্ষের আইনজীবীও।
জানা গেছে, ৩০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও রেওয়াত পেয়ে সাজা কমে ২২ থেকে ২৩ বছর সাজা খেটে বের হন আসামিরা। দেশের কারাগারে বর্তমানে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৫ হাজার ৫২ জন।
আদালত রায়ে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস বোঝালেও দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি মিলিয়ে পড়লে যাবজ্জীবনের মেয়াদ ৩০ বছর হবে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল সেটা দূর হলো বলে মনে করেন অ্যার্টনি জেনারেল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।